যশোরের কেশবপুর উপজেলায় রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের দায় এক ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ১০ দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে আদায় করা হয়। একই দিনে মাদক সেবন করে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও মাতলামির অভিযোগে আরেক ব্যক্তিকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ নেওয়াজ-এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের দায় এক ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযাযী ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে আদায় করা হয়। জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
একই অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মাদক সেবন করে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও মাতলামির অভিযোগে আরেক ব্যক্তিকে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
এছাড়া উপজেলার ভবদহ এলাকায় অবস্থিত মৎস্য ঘেরগুলোর ক্ষেত্রে মৎস্যঘের স্থাপন নীতিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ঘের মালিকদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। পানি প্রবাহ ও কৃষিজমির সুরক্ষায় এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জনস্বার্থে পরিচালিত এই মোবাইল কোর্টের অভিযানকে উপজেলাবাসী স্বাগত জানিয়েছে। অনেকেই জানান, প্রশাসনের এমন উদ্যোগে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও নিরাপদ হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফ নেওয়াজ বলেন, “অবৈধ দখল, মাদকসেবন কিংবা পরিবেশবিরোধী কার্যক্রমকোনটিই বরদাশত করা হবে না। জনগণের স্বার্থে এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।” উপজেলা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের প্রতি আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এফপি/রাজ