শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির ও সেক্রেটারির অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতারা।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা মিলনায়তন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা এস এম আলম ও বিএনপির সাবেক উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান মানিক জামায়াতে ইসলামী নেতাদের অনুপস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেন। তারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে বলেন, “আজ কেন জামায়াতে ইসলামী শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় উপস্থিত নেই, তা উপলব্ধি করা প্রয়োজন। ১৯৭১ সালে তারা মীরজাফরের ভূমিকায় ছিল। আজ তারা এখানে এসে কথা না বলে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে ব্যস্ত রয়েছে।”
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হান মাহমুদ। উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান সিবলি সভাটি সঞ্চালনা করেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরূপকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম ফরিদ, বিএনপির সাবেক উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার জহিরুল হক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা এস এম আলম আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা আরও ব্যাপক পরিসরে আয়োজন করা প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতে সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত সময়ে যেসব বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা রাখায় দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ বা নিখোঁজ হন, তারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী।”
এফপি/জেএস