খুলনা আর্টিস্ট ক্লাবের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গতকাল (০৮ নভেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আর্টিস্টদের কাজই হলো সাধারণ কিছু কথা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, আকর্ষণীয় করে তোলা এবং শ্রুতি-মধুরভাবে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজটা সহজ নয় এটি শিল্প, মনন ও মানবিকতার সমন্বয়।
শিল্পের প্রতি তোমাদের আগ্রহ যেন আজীবন থাকে, সেটাই আমার প্রত্যাশা। পড়াশোনার পাশাপাশি তোমাদের যেকোনো একটি দক্ষতা বা স্কিলের প্রতি আগ্রহ রাখো, নিজেকে সেখানে অভিজ্ঞ করে তোলো। এভাবেই একজন শিল্পী শুধু মঞ্চে নয়, জীবনের প্রতিটি জায়গায় আলোর প্রতীক হয়ে ওঠে।
একজন সত্যিকারের শিল্পীর কাজ হলো শ্রোতা-দর্শকদের আনন্দ দেওয়া, তাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা। তোমরা যখন অভিনয় করো, গান গাও, বা আবৃত্তি করো— তখন মানুষকে হাসাও, ভাবাও, অনুপ্রাণিত করো। এটাই একজন আর্টিস্টের আসল সাফল্য।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন বাচ্চাদের প্রতি সময় দিন, তাদের যত্ন নিন। অতিরিক্ত মোবাইল বা টেলিভিশনের ব্যবহার শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য ভালো নয়। তাদের সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন, তাদের আগ্রহের জায়গাগুলো বুঝে সাহায্য করুন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মামুন আক্তার, উপ আঞ্চলিক পরিচালক, বাংলাদেশ বেতার, খুলনা,শেখ মোঃ আসলাম, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার, বাংলাদেশ জাতীয় দল সাবেক সভাপতি, (বাফুফে), সৈয়দ ইসমত তোহা উপস্থাপক, সংবাদ পাঠক, নাট্যশিল্পী বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি, ঢাকা, জয়দেব চক্রবর্তী, কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার বাংলা বেতার, বিটিভি ও অভিভাবকবৃন্দ, কোমলমতি শিশু শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/অ