শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এরমধ্যে দুটি কাপড়ের দোকান, একটি খাবারের হোটেল, একটি ফার্মেসী ও একটি বন্ধ মনোহারী দোকান রয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী মিশন রোডের বটতলা মোড়ের দোকানগুলোতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোররাত ৫টার দিকে উপজেলার বারোমারী বটতলা মিশন মোড়ের গারো আদিবাসী নারী মিতালী ঘাগ্রার সিলসি বস্ত্রালয় থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। পরে তার পাশ্ববর্তী খোরশেদ আলমের ভাই ভাই নামে খাবারের হোটেল, জমশেদ আলীর আল্লাহ সাফি নামে ওষুধের ফার্মেসী, আদিবাসী নারী প্রজাপতি সাংমার কাপড়ের দোকান ও বন্দনা চাম্বুগং এর বন্ধ মনোহারী দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখায় পাশাপাশি থাকা ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এসময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে দেরী হওয়ায় আশপাশের লোকজন ও বারোমারী বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা মিলে নিজস্ব উদ্যোগে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
হঠাৎ এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যাওয়ায় এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা সরকারী ও বেসরকারীভাবে সহায়তা প্রাপ্তির দাবী জানান।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ভাই ভাই হোটেলের মালিক আরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, নন্নী পল্লী বিদ্যুত অফিসের অভিযোগ নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুত লাইন বন্ধ করে দিলে হয়তো দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার জাকারিয়া ইসলাম বলেন, একটি কাপড়ের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহিী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে সরকারীভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এফপি/অআ