দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শনিবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে পাবনা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আটুয়া হাউজপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে খনন কাজ শুরু হয়, যা মণ্ডলপাড়া অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই প্রকল্পের আওতায় মোট ২৬ কিলোমিটার নদী খনন সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খনন শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম এবং সেনা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। প্রথম ধাপে তিনটি ভেকু (খননযন্ত্র) দিয়ে খননকাজ চলছে।
এদিকে নদী খননের স্বপক্ষে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষ ভূমিকার প্রশংসায় শনিবার সকাল ৯:৩০ থেকে ১১:০০ পর্যন্ত এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পাবনার লাইব্রেরি বাজারের হাউজপাড়া আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নদীপাড়জুড়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন শত শত সচেতন নাগরিক, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ইছামতি নদীর প্রাণ ফেরাতে ও দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রায় ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন, পাবনা’ সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক ‘সিনসা’-এর সম্পাদক এস. এম. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এম মনছুর আলম, ইমাম গাজ্জালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা, সুজানগর এম. এ. কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন এবং হাজেরা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম, তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক জুবায়ের খান প্রিন্স প্রমুখ।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাবনাবাসীর বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি নদীকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে নতুন অবকাঠামো ও পরিবেশবান্ধব নগর পরিকল্পনা।
এফপি/রাজ