চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আলোচিত সুবীর চক্রবর্তী হত্যা মামলার তিন পলাতক আসামিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে র্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সরাসরি হত্যায় জড়িত ও মামলা ৩ নম্বর আসামি দীপ্ত দাস, ৪ নম্বর আসামি সুমিত এবং ৬ নম্বর আসামি দীপক। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভালুকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানির ফ্যামিলি কোয়ার্টারে আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ইস্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নোমান কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে অবস্থান করছিলেন আসামিরা। কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলার ডান পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালানো হয়, যা খুনিদের আশ্রয় দাতা বাবলা দাস নামক এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত। বাবলা দাস ওই টেক্সটাইল কারখানায় ম্যানেজার পদে কর্মরত।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, দীপ্ত ও সুমিতকে বাবলা দাসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে তারা দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন। পরে দীপককেও একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, পরিচয়পত্র, কিছু সন্দেহজনক ডকুমেন্ট ও অন্যান্য আলামত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, বাবলা দাসের আচরণ ও তার সহায়তায় আসামিদের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তিনি হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন। তার বিরুদ্ধে সহযোগিতা ও আশ্রয়দানের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে র্যাব। ইতোমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নেওয়া হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার আওতাধীন ফকিরখীল এলাকায় কিছুদিন আগে সুবীর নামক এক যুবক নির্মমভাবে খুন হন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে ব্যক্তিগত বিরোধ ও আর্থিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট ঘটনা থাকতে পারে। সুবীর হত্যাকাণ্ড চট্টগ্রাম জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। মামলাটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই উচ্চ গুরুত্বের তালিকায় চলে আসে।
এফপি/এমআই