শিরোনাম: |
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সারাদেশের তুলনায় বোর্ডটির পাসের হার প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। পাসের হার মাত্র ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, যা স্মরণকালের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ একে “ফল বিপর্যয়” বলতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর বোর্ডের অধীনে ১০ জেলার মোট এক লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। তিনটি বিভাগে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা
বিজ্ঞান বিভাগে: ২১ হাজার ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫ হাজার ৯৩১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৮১ জন।
মানবিক বিভাগে: ৭৮ হাজার ৯৯৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪ হাজার ৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১৭৯ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে: ১২ হাজার ৩৯৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৬ হাজার ৫৭৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৫ জন।
সব মিলিয়ে এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী।
জেলা পর্যায়ে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর, যেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।
অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে খুলনায় ৫৩.৯৮%, সাতক্ষীরায় ৫২.৬৪%, চুয়াডাঙ্গায় ৫০.৩৫%, কুষ্টিয়ায় ৪৮.৮৫%, মেহেরপুরে ৪৮.৫১%, নড়াইলে ৪৬.৪৬%, ঝিনাইদহে ৪৫.০৭%, বাগেরহাটে ৪১.৮৫% এবং মাগুরায় সর্বনিম্ন ৩৭.৪৬% শিক্ষার্থী পাস করেছে।
গত বছর যশোর বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এবার শুন্য পাসের কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টি।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, “জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। তবে খাতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি, তাই পাসের হার কমেছে।”
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম বলেন, “ফলাফল আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। তবে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মেধাবীদের এগিয়ে আনতে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।”
এফপি/অআ