Dhaka, Monday | 18 August 2025
         
English Edition
   
Epaper | Monday | 18 August 2025 | English
পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের: রিজওয়ানা হাসান
পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন যুদ্ধ, মাঠ গরম সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা
বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন কান্তি দে’র মৃত্যুতে প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
কিশোরগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
শিরোনাম:

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন নিজেই রোগী

প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম  (ভিজিটর : ৭৪)

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন নিজেই রোগী। কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারি হাসপাতাল এখন রোগীদের ভোগান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা সেবার নামে চলছে জনভোগান্তি।

অপরিচ্ছন্নতা, ঔষধ সংকট, জনবল সংকট ও সু-তদারকির অভাবে হাসপাতালটিতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এদিকে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বহির্বিভাগের দেখা যায়, একটি মাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শিশুদের মায়েরা নিজেরাই অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।

একই চিত্র অর্থপেকডিক্সেও। একটি মাত্র হাড়ের ডাক্তার থাকায় সেখানেও রুগীদের লম্বা লাইন। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য ডাক্তারের সংকট। 

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় উঠলেই দেখা যায় রোগীর পাশেই মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালের কোথাও কোথাও কফ, থুতু ও পানের পিকের দাগ। ময়লাযুক্ত পুরাতন বেডসিট সেটাও আবার মঝে মধ্যে পাওয়া যায় না। জেনারেটর না থাকায় রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাসপাতালে ভর করে ভুতুড়ে পরিবেশ। ফলে বাধ্য হয়ে মোবাইলের টর্চ জালিয়ে চিকিৎসা দিতে হয় নার্স ও চিকিৎসকদের। এছাড়াও প্রচন্ড গড়মে অসহনীয় কষ্ট করতে হয় রুগী ও রুগীর স্বজনদের। 

ময়লাযুক্ত ড্রেনের কারণে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিটি ওয়ার্ডের বাথরুমে গেলে দুর্গন্ধের তীব্রতায় সুস্থ্য মানুষেরও অসুস্থ্য হওয়ার উপক্রম হয়। 

মেলে না প্রয়োজনীয় ঔষধ, বছরের পর বছর ধরে দেখানো হয় ঔষধের সংকট। নামমাত্র কয়েকটি ঔষধ দিয়ে বাদ বাকি প্রয়োজনীয় ঔষধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে বলা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারি এবং তাদের আত্মীয় স্বজন ইচ্ছামত ঔষধ নিয়ে যায়। দুটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই ড্রাইভার, অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সেটিও। যার ফলে স্বল্প খরচে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়ার সৌভাগ্য আর রোগীদের হয় না।

রুগী ও রুগীর স্বজনদের সাথে নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও রয়েছে প্রচুর।

দির্ঘ বছর এমন অবস্থা চললেও সাস্থ্য দপ্তরের নেই কোন ভ্রুক্ষেপ। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে জনভোগান্তি দূর করে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দাবী জনসাধারণের। 

জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই পাংশা উপজেলায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১০ জন মানুষ বসবাস করেন। তাদের  চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে ৫০ শয্যার একটি সরকারি হাসপাতাল।

উপজেলার একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নের মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও খোকসা উপজেলার মানুষও চিকিৎসা সেবা নিতে আসে এ হাসপাতালে।

উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এবাতদত হোসেন বলেন, নিয়ম অনুসারে কন্সাল্টেন্ট, বিশেষজ্ঞ, সাধারণ মেডিকেল অফিসার সব মিলে ৩১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সব মিলিয়ে আছে মাত্র ৯ জন। 

হাসপাতালের ধারন ক্ষমতার চাইতে দু গুন -তিন গুন বেশি রোগী হওয়ায় অধিকাংশ সময়ই চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়মিত হয়। অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় সেবাটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

এসময় তিনি আরো বলেন, এসকল বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত পূর্বক প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের আবেদন জানিয়েছি।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝