রাজধানীর জামান টাওয়ারে ফ্ল্যাট দখল করে দলীয় অফিস পরিচালনা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ‘আমজনতার দল’র সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান একজন প্রতারক ও দখলদার।
শফিকুল ইসলাম জানান, তারেক রহমান ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক তাঁর বাসায় প্রবেশ করে ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তারা কোনো প্রকার ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হুমকির মুখে রেখেছেন।
শফিকুল ইসলামের দাবি, তিনি ২০২২ সালের ১২ই মে মশিউজ্জামানের কাছ থেকে বৈধ দলিলের মাধ্যমে জামান টাওয়ারের এই ফ্ল্যাটটি ক্রয় করেন। সূত্রাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ২১৯৩ নম্বর দলিল মূলে তিনি মোট ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি কিনেছেন। কিন্তু মশিউজ্জামান এবং তারেক রহমান তাঁর কেনা বাড়িতে জোর করে পার্টি অফিস স্থাপন করেছেন।
শফিকুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, দখলদাররা কোনো ভাড়া পরিশোধ করছেন না। এমনকি এই অফিস দেখিয়ে তারা দলীয় নিবন্ধনের জন্য আন্দোলন করছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তারা ভবনের গ্যারেজ থেকেও নিয়মিত চাঁদা/টাকা আদায় করছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে জামান টাওয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যগণ একত্রিত হয়ে সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।
জামান টাওয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যরা জানিয়েছেন, সোসাইটির সদস্য মিয়া মশিউজ্জামান বেশ কয়েক বছর ধরে নানাভাবে তাঁদের হয়রানি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তার পরিচয়ে। এমন কি ফ্লাটের পার্কিং এলাকার টাকা জোর করে আদায় করছে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাসার সিকুরিটি গার্ডকে পর্যন্ত মারধর করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তারেক রহমান জানান, আমাদের ‘আমজনতার দল’র অফিসটা মূলত আলাদা জায়গায়, ছাদে। ছাদে আমরা অফিসটা বানিয়ে নিয়েছি, এখানে কোনো ফ্ল্যাট ছিলো না।
তবে এই ব্যপারে মশিউজ্জামানের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এফপি/এমআই