চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বাংলা দাড়ি মাঠে ভুট্টাক্ষেতে কৃষক সোহেল (২০) নামে একজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত কৃষক সোহেল (২০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বকচরপাড়ার আশরাফুল হকের ছেলে।
সোমবার সন্ধা থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে যে কোন সময় এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটায় অজ্ঞাত দূবৃত্তরা।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে বেলগাছি গ্রামের বাংলা দাড়ি মাঠে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি, সিআইডি ও সদর থানা পুলিশের একাদিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা বা পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে তদন্তেই প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে বলে মনে করছি।
নিহতের পিতা আশরাফুল হক বলেন, স্থানীয় তাহেরের ছেলে ফারুক ও হারুনের সঙ্গে পেয়ারা বাগানের একটি পেয়ারা গাছের ডাল ভাঙ্গা কিংবা পেয়ারা খাওয়া নিয়ে সোহেলের দ্বন্দ্ব হয়। এরই জের ধরে ১০/১২ দিন আগে তারা আমার ছেলের মাথায় ৪ টা কোপ মারে। ওই সময় ফারুক সোহেলকে হত্যার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে ফারুক আমার ছেলেকে জবাই করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
নিহত সোহেলের বড় ভাই জুয়েল বলেন, সম্প্রতি ফারুকদের পেয়ারা বাগানের একটি ডাল ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে তারা প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে৷ এরপরই রাতের কোন সময় ফারুক আমার ভাইকে হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখে। আমি তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কৃষক সোহেলের জবাই করা মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। এই হত্যার প্রকৃত কারণ ও হত্যা কারিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে। হত্যাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এফপি/অ