ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা খুলনার দাকোপ উপজেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃস্থানীয় কর্মী। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ থেকে ৯ জন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশফাক হোসেন জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্বরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন– মাওলানা আবু সাঈদ (৫৫) এবং মোহাম্মদ আমানত শেখ (৫৫)। তারা জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলা শাখার সক্রিয় নেতা ছিলেন। মাওলানা আবু সাঈদ চালনা বিল্লালিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি মিনিবাস ভাঙ্গা গোলচত্বরে যাত্রাবিরতি করে। এ সময় মিনিবাসের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ ও আমানত শেখ। হঠাৎ খুলনা থেকে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস পেছন থেকে এসে দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মিনিবাসের সামনে থাকা দুইজন ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্তমানে নিহতদের মরদেহ এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার হেফাজতে রয়েছে।
ওসি আশফাক হোসেন জানান, “বাসটি অতিরিক্ত গতি এবং অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এদিকে, দুর্ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে যানবাহনের যাত্রাবিরতিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবিও উঠে এসেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।
এফপি/রাজ